শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ নেত্রকোনার মদন উপজেলায় পর পর তিন বিয়ে করায় ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীকে অ্যাসিডে ঝলসে দিলেন প্রথম স্ত্রী। দগ্ধ অবস্থায় ওই স্বামীকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বুধবার (০৮ জুলাই) রাতে উপজেলার ভাড়িভাদেরা রোডের আক্কাস মাস্টারের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অ্যাসিডে দগ্ধ সুলতান মাহমুদ (৩৩) টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে সোনালী ব্যাংক মদন শাখায় সিনিয়ম অফিসার (ক্যাশ) পদে কর্মরত আছেন তিনি। এ ঘটনায় সুলতান মাহমুদের প্রথম স্ত্রী নাসিমা আক্তারকে আটক করে বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোনা জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুলতান মাহমুদ সোনালী ব্যাংকের মদন শাখায় কর্মরত। স্ত্রী নাসিমা আক্তারকে নিয়ে মদন উপজেলার ভাড়িভাদেরা রোডের আক্কাস মাস্টারের বাসায় ভাড়া থাকেন তিনি। নাসিমার ঘরে তিন সন্তান রয়েছে সুলতান মাহমুদের। কয়েক মাস আগে ময়মনসিংহে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সুলতান মাহমুদ। এ নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার গোপনে ময়মনসিংহে তৃতীয় বিয়ে করেন সুলতান মাহমুদ। বুধবার রাতে বাড়ি এলে এ নিয়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সুলতান মাহমুদের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে সুলতান মাহমুদের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন স্ত্রী নাসিমা আক্তার।
এ সময় সুলতান মাহমুদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। তখন তাকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠানো হয়। খবর পেয়ে রাতেই নাসিমাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার নাসিমাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মদন থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ চন্দ্র দত্ত বলেন, একাধিক বিয়ে করায় স্বামীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছেন প্রথম স্ত্রী। বুধবার রাতে খবর শুনে সুলতান মাহমুদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই তার স্ত্রী নাসিমাকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply